মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র :
ঘরের শত্রু বিভীষণ
উইকিলিকসের জুলিয়ান
অ্যাসাঞ্জের কাছে লাখ লাখ গোপন নথি তুলে দেওয়ার অভিযোগে যখন ব্র্যাডলি ম্যানিং
বিচারের কাঠগড়ায়, তখনই একই ধরনের কাণ্ড করলেন
এডওয়ার্ড স্নোডেন। ম্যানিংয়ের কারণে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী কূটনৈতিক বিপর্যয়ের
মুখে পড়েছিল। স্নোডেনের ঘটনায় নিজ নাগরিকদের কাছেই মার্কিন সরকারের বিশ্বস্ততা ও
সততা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। ম্যানিং বা স্নোডেন যা করেছেন তা মার্কিন প্রশাসনের
জন্য নতুন কিছু নয়। ১৯৭১ সালেও একই কাণ্ড করেছিলেন মার্কিন নাগরিক ডেনিয়েল
এলসবার্গ। স্নোডেনের মতো তাকে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছিল, ম্যানিংয়ের
মতো কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছিল। সবক্ষেত্রে একই রকম প্রতিক্রিয়া দেখানো মার্কিন
প্রশাসনের অবশ্য দীর্ঘ চার দশকে চারিত্রিক কোনো পরিবর্তন হয়নি।
এশিয়া ও আফ্রিকার গরিব দেশগুলোকে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, নাগরিক অধিকার, তথ্য ও ব্যক্তিস্বাধীনতা তথা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের উপদেশ দিতে সবচেয়ে আগুয়ান যুক্তরাষ্ট্র। অথচ চলতি মাসের শুরুর দিকে জানা গেল যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসএ) সন্দেহভাজন-সন্দেহমুক্ত নির্বিশেষে সব নাগরিকের টেলিফোন রেকর্ডের ডাটা সংগ্রহ করছে নিয়মিত। গুগল, ফেসবুক, টুইটারসহ বিভিন্ন ইন্টারনেট কোম্পানির সার্ভার থেকে সরাসরি ই-মেইলসহ নানা তথ্য সংগ্রহ করছে। ইন্টারনেটে তাদের হানা দেশের সীমা ছাড়িয়ে বিদেশি নাগরিকদের ব্যক্তিনিরাপত্তাকেও বিঘি্নত করেছে। স্নোডেন ওই কর্মসূচির কিছু নথি ওয়াশিংটন পোস্ট ও গার্ডিয়ানের হাতে তুলে দেন। সাফাই দিতে গিয়ে অবশ্য ওবামা প্রশাসন একটি গোপন আদালতের ঘাড়েই বন্দুক রেখেছে। স্নোডেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে এনএসএতে কাজ করতেন। নিরাপত্তার স্বার্থে হংকংয়ে গিয়ে নথিগুলো ফাঁস করেন তিনি। এরপর থেকে তিনি লাপাত্তা।
স্নোডেন বলেছেন, মার্কিন প্রশাসনের কর্মকাণ্ডে বীতশ্রদ্ধ হয়ে 'মানুষের মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষার জন্যই' বিষয়টি ফাঁস করেছেন। তিনি ভেবেছিলেন, ওবামা নির্বাচিত হলে ব্যক্তিস্বাধীনতার ওপর ভয়ানক এ হস্তক্ষেপ বন্ধ হবে। কিন্তু উল্টো তা আরও জোরদার হলে গুমর ফাঁসের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্য ধরে রাখতে দেশে দেশে যুক্তরাষ্ট্র যতই তৎপরতা চালাচ্ছে ততই তার শত্রু বাড়ছে। কিন্তু ভিনদেশি শত্রুর চেয়ে তার বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ঘরের শত্রুরাই। ভিনদেশি অ্যাসাঞ্জকে ইকুয়েডর দূতাবাসের চার দেয়ালে আটকে দিলেও ঘরের শত্রুদের কীভাবে রুখবে পরাক্রমশালী যুক্তরাষ্ট্র?
এশিয়া ও আফ্রিকার গরিব দেশগুলোকে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, নাগরিক অধিকার, তথ্য ও ব্যক্তিস্বাধীনতা তথা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের উপদেশ দিতে সবচেয়ে আগুয়ান যুক্তরাষ্ট্র। অথচ চলতি মাসের শুরুর দিকে জানা গেল যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসএ) সন্দেহভাজন-সন্দেহমুক্ত নির্বিশেষে সব নাগরিকের টেলিফোন রেকর্ডের ডাটা সংগ্রহ করছে নিয়মিত। গুগল, ফেসবুক, টুইটারসহ বিভিন্ন ইন্টারনেট কোম্পানির সার্ভার থেকে সরাসরি ই-মেইলসহ নানা তথ্য সংগ্রহ করছে। ইন্টারনেটে তাদের হানা দেশের সীমা ছাড়িয়ে বিদেশি নাগরিকদের ব্যক্তিনিরাপত্তাকেও বিঘি্নত করেছে। স্নোডেন ওই কর্মসূচির কিছু নথি ওয়াশিংটন পোস্ট ও গার্ডিয়ানের হাতে তুলে দেন। সাফাই দিতে গিয়ে অবশ্য ওবামা প্রশাসন একটি গোপন আদালতের ঘাড়েই বন্দুক রেখেছে। স্নোডেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে এনএসএতে কাজ করতেন। নিরাপত্তার স্বার্থে হংকংয়ে গিয়ে নথিগুলো ফাঁস করেন তিনি। এরপর থেকে তিনি লাপাত্তা।
স্নোডেন বলেছেন, মার্কিন প্রশাসনের কর্মকাণ্ডে বীতশ্রদ্ধ হয়ে 'মানুষের মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষার জন্যই' বিষয়টি ফাঁস করেছেন। তিনি ভেবেছিলেন, ওবামা নির্বাচিত হলে ব্যক্তিস্বাধীনতার ওপর ভয়ানক এ হস্তক্ষেপ বন্ধ হবে। কিন্তু উল্টো তা আরও জোরদার হলে গুমর ফাঁসের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্য ধরে রাখতে দেশে দেশে যুক্তরাষ্ট্র যতই তৎপরতা চালাচ্ছে ততই তার শত্রু বাড়ছে। কিন্তু ভিনদেশি শত্রুর চেয়ে তার বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ঘরের শত্রুরাই। ভিনদেশি অ্যাসাঞ্জকে ইকুয়েডর দূতাবাসের চার দেয়ালে আটকে দিলেও ঘরের শত্রুদের কীভাবে রুখবে পরাক্রমশালী যুক্তরাষ্ট্র?
No comments:
Post a Comment