দেউলিয়া
পাকিস্তানকে বাঁচাতে ইমরানের ‘ডাবল গেম’ শুরু!
মৃণালকান্তি
দাস
আন্তর্জাতিক
চাপে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানে জঙ্গি সক্রিয়তার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ইমরান। বলেছেন,
‘পনের বছর ধরে পাকিস্তানে সক্রিয় ছিল ৪০টি জঙ্গি সংগঠন। তাদের অনেকেই আফগানিস্তান
ও কাশ্মীরে লড়াই করেছে। কিন্তু এই তথ্য বারবারই আমেরিকার কাছে গোপন করেছে
পূর্ববর্তী সরকারগুলো। পাকিস্তানেরও সেই সেময় কিছু করার ছিল না। গোটা পরিস্থিতি
পাক সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল।’ আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে পাক
প্রধানমন্ত্রীর কন্ঠে এমনই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি শুনে অবাক হয়েছিলেন অনেকেই।
পূর্বসূরিরা
যে ভুল করে গিয়েছেন,
সে ভুল আর করতে চান বলেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ইমরান। তাঁর দাবি,
‘আমরা জঙ্গি সংগঠনগুলির মাদ্রাসা, প্রতিষ্ঠানের
দখল নিয়েছি। সেখানে প্রশাসক বসানো হয়েছে। পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদ দমনে জোরকদমে
চেষ্টা চালাচ্ছে। তালিবানদের আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসার কাজ শুরু করেছে তারা। ভালো
সাড়াও মিলেছে।’ শান্তি ফিরিয়ে আনতে যা যা করা প্রয়োজন তাই করবেন। শুধু তাই নয়,
এ বিষয়ে কী ভাবে তাঁরা এগচ্ছেন গোটা প্রক্রিয়াটাই আমেরিকাকে জানাবে
পাকিস্তান, এমনটাই দাবি ইমরানের। এই সংবাদ প্রকাশের পর যারা
‘পাকিস্তানকে এতদিন পর বাগে আনা গিয়েছে’ গোছের ভাবনা শুরু করে দিলেন, তারা খেয়ালই
করলেন না, ইমরানের আসল উদ্দেশ্য। সব কিছু বলার মাঝে ইমরান কিন্তু মার্কিন সফরে
গিয়ে শুনিয়ে এসেছেন, পুলওয়ামা হামলা নাকি ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ’
গোলমালের ফল। ফলে এখনও কাশ্মীরে সন্ত্রাস-দমনে পাক প্রধানমন্ত্রীর
তরফে তেমন আন্তরিকতার সম্ভাবনা দেখছেন না ভারতীয় কূটনীতিকরা। জঙ্গিরা রয়েছে বলে
যদি মেনেই নিলেন, তা হলে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছেন না
কেন? প্রশ্নই তুলেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকও।
জঙ্গি
মদতের প্রশ্নে অনেক আগেই সুর বদল করে ফেলেছিল পাকিস্তান। গত জুনে ফিনান্সিয়াল
অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)-এর চরম হুঁশিয়ারির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাক সেনাপ্রধান
জেনারেল কমর বাজওয়া দাবি করেছিলেন, দেশের মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদকে
সর্বতোভাবে উপড়ে ফেলতে চেষ্টার কোনও কসুর রাখছেন না তাঁরা। শুধু তাই নয়, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনার পথেই হাঁটতে শুরু করেছেন
তাঁরা। এফএটিএফ হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, সন্ত্রাসবাদে অর্থ
জোগানোর বিরুদ্ধে আগামী অক্টোবরের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে ইসলামাবাদকে কালো
তালিকাভুক্ত করা হবে। সন্ত্রাসবাদের কারণে বিদেশি বিনিয়োগও মুখ ফিরিয়েছে পাকিস্তান
থেকে। ফলে ভয়ঙ্কর চাপ মাথায় নিয়ে আমেরিকা উড়ে গিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
আমেরিকা
সফরে শুরুতেই অবশ্য ধাক্কা খেয়েছেন ইমরান। তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে মার্কিন
কর্তাদের কেউই বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন না। যা প্রথা এবং সৌজন্যের বাইরে। পাক
মাটিতে বেড়ে ওঠা জঙ্গি সংগঠনগুলির মোকাবিলায় এবং পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ
নিরাপত্তা খাতে বহু বছর ধরেই আমেরিকা লক্ষ লক্ষ ডলার অনুদান দিয়ে আসছে। কিন্তু
প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই জঙ্গি দমনে কড়া হওয়ার জন্য পাক সরকারের উপরে চাপ
বাড়াতে শুরু করেন ট্রাম্প। বেশ কয়েক বার হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরে নিরাপত্তা খাতে
দেওয়া লক্ষাধিক ডলারের ত্রাণ প্যাকেজ বন্ধ করে দেন গত বছরের গোড়াতেই। এই তিক্ততা
কাটিয়ে উঠতেই তিনদিনের মার্কিন সফরে গিয়েছিলেন ইমরান। ত্রাণ প্যাকেজ ফিরিয়ে আনাই
ছিল পাক প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র উদ্দেশ্য। ফলে আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে ইমরান
অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন পাকিস্তানে জঙ্গি সক্রিয়তার কথা। একইসঙ্গে জানিয়ে
এসেছেন, তাঁর সরকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কতটা আগ্রহী। ফলও পেয়েছেন
হাতেনাতে। ইমরান খান আমেরিকা সফর সেরে যাওয়ার পরেই এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের
প্রযুক্তি-সহ নানা ক্ষেত্রে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ানোর কথাই ঘোষণা করেছে ট্রাম্প
প্রশাসন। হোয়াইট হাউস সূত্রের খবর, সামরিক খাতে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি ডলারের
চুক্তি হয়েছে দু’দেশে। চুক্তি মোতাবেক, এ বার থেকে অন্তত ৬০টি সংস্থাকে দিয়ে ওই যুদ্ধবিমানগুলির দেখভাল করাবে
পেন্টাগন। নয়াদিল্লি মুখ না খুললেও, এই চুক্তিকে তেমন সুনজরে
দেখছে না কূটনীতিক মহলের একটা বড় অংশ। তা হলে কি পাকিস্তানের উপর থেকে সেই
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উঠে গেল? ভারত-পাকিস্তান টানাপড়েনের
প্রেক্ষিতে আমেরিকার এই ঘোষণায় তাই অনেকেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। যদিও পেন্টাগনের
বক্তব্য, এতে কোনও ভাবেই উপমহাদেশে সামরিক ভারসাম্য নষ্ট হবে
না। আর ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে নেমে মার্কিন সফরের ‘সাফল্য’
বর্ণনা করতে গিয়ে ইমরান বলেছেন, ‘মনে হচ্ছে
আমি যেন বিশ্বকাপ জিতে ফিরলাম।’ তাহলে এটাও ঠিক যে, ইমরান
একটা খেলায় নেমেছেন। কিন্তু কী সেই খেলা?
ইমরান
জমানার পাকিস্তান বলে, তাদের ভালো বন্ধু চীন। আবার আমেরিকাও। তাদের যেটুকু প্রভাব
প্রতিপত্তি, তার অন্যতম কারণও এই দুই দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। অথচ, কে না
জানে, চীন ও আমেরিকার মধ্যে সম্পর্কটি মধুর নয়। তাই বিরোধপূর্ণ দুই দেশ চীন ও আমেরিকার
সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে পাকিস্তানের অবস্থানকে বিশ্লেষকরা বলছেন ‘ডাবল গেম’ বা দ্বৈত খেলা। ব্যাপারটি এখন আমেরিকার
সঙ্গে প্রেম, আর চীনের সঙ্গে বিয়ের মতো বিষয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওয়াশিংটন ও বেজিংকে নিয়ে দ্বৈত খেলায় মেতেছেন ইমরান খান। প্যারিসে
নির্বাসিত পাক সাংবাদিক তাহা সিদ্দিকির কথায়, পাকিস্তান এখন ভয়ঙ্কর
অর্থনৈতিক মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমেরিকার আর্থিক ও সামরিক সহায়তা পাকিস্তানের খুব
প্রয়োজন। আবার পাকিস্তানে চীনের বিনিয়োগের বিষয়টি আঁকড়ে ধরে রাখার ব্যাপারটিও রয়েছে।
আমেরিকা এই অঞ্চলে চীনের অগ্রগতি থামাতে চায়। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল
কামার জাভেদ বাজওয়া চান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত
হোক। কামার জাভেদ বাজওয়া জানেন, আফগানিস্তান প্রশ্নে
ইসলামাবাদকে প্রয়োজন ওয়াশিংটনের। আবার আগামী দিনে ইরানের সঙ্গে আমেরিকা যদি কোনও
দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে, তবে পাকিস্তান ভাড়াটে রাষ্ট্র হিসেবে পরিষেবা
দিতে পারবে। সে ক্ষেত্রেও তাদের পাকিস্তানকে প্রয়োজন। ফলে, আমেরিকা ও চীনকে নিয়ে ইমরান
দ্বৈত খেলা শুরু করেছেন। এই ফাঁকে আমেরিকা ও চীন উভয়ের থেকেই সর্বাধিক আর্থিক
সুবিধাও আদায় করতে চান ইমরান। আর পাকিস্তানের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেই এই খেলার
ক্ষেত্রটা কিন্তু ইমরানের পক্ষে।
চীনের
সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক যে ভালো সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না। পাকিস্তানের বিষয়ে
চীনের পক্ষপাতিত্ব যে একটু বেশিই সেকথা রাষ্ট্রসঙ্ঘও ভালো করে জানে। যে কারণেই
মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণার সিদ্ধান্তে বারবার ভেটো প্রয়োগ করা হয়েছে।
এখানেই শেষ নয় পাকিস্তানের সঙ্গে তৈরি করা হচ্ছে ইকোনমিক করিডোর। এই নিয়ে ভারতের
আপত্তিও উপেক্ষা করেছে বেজিং। আমেরিকা সফরের আগে গত এপ্রিলে চীনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন
পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। চীনের কাছে কার্যত ভিক্ষের ঝুলি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন
তাঁরা। কিন্তু খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল ইমরানকে। ফলে মার্কিন সফরে গিয়ে ডোনাল্ড
ট্রাম্পের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতে ইমরান যে কিছু একটা করবেন তা বোঝাই গিয়েছিল। এতে
একদিকে আমেরিকা খুশি হবে, অন্যদিকে চাপে পড়বে ‘বন্ধু’ চীন। যাকে বলে ‘ডাবল গেম’।
ইমরান
খানকে এখন পাক সাংবাদিকরা কী বলে ডাকেন, জানেন? ‘ইউটার্ন খান’!
পাকিস্তানের
৭৩ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে নোংরা নির্বাচনে জিতে আসা ইমরান খানের নির্বাচনী প্রচারের
স্লোগান ছিল ‘নয়া পাকিস্তান’, কিন্তু প্রধানমন্ত্রিত্বের এক বছর
পার হলেও তাঁর নতুন পাকিস্তান গড়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে গিয়েছে। তাঁর অনেক
প্রতিশ্রুতি থেকে সরে গিয়েছেন নিজেই। ইমরান জমানায় এইমুহূর্তে পাকিস্তানের অবস্থা
কী জানেন? পাক সাংবাদিক তাহা সিদ্দিকি আল-জাজিরায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে লিখছেন, গত
এক বছরে পাকিস্তানের অর্থনীতির বারোটা বেজে গিয়েছে। দেশের মুদ্রার মান দিনে দিনে
পড়েছে এবং মাত্র এক বছরে এর মূল্য ৩৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ
হয়েছে যে ইমরান খানকে তাঁর মন্ত্রিপরিষদ রদবদল করতে হয়েছে। পাকিস্তানের আর্থিক সঙ্কটের
সমাধান হিসেবে তিনি বছরের পর বছর ধরে যার প্রশংসা করেছিলেন, সেই
অর্থমন্ত্রীকেও বরখাস্ত করেছেন। নির্বাচনী প্রচারের সময় ইমরান খান কোনও বিদেশি ঋণ
গ্রহণ ছাড়াই পাকিস্তানের ডুবন্ত অর্থনীতিকে টেনে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। অথচ,
তাঁর সরকার মাত্র এক বছরে ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার ঋণ নিয়ে আগের সব রেকর্ড ভেঙে
দিয়েছে। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের পর কোনও আর্থিকবছরে বিদেশি ঋণ
নেওয়ার এটাই সর্বোচ্চ রেকর্ড। গত এক বছরে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হারও অর্ধেকে
নেমেছে। ৩.৩ শতাংশ। গত ৯ বছরের মধ্যে এটি সর্বনিম্ন। রেকর্ড তো বটেই।
তাছাড়া পাকিস্তানের
বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয় এখন তলানিতে। মাত্র ৮০০ কোটি ডলার বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চিত
আছে। এই পরিমাণ অর্থ দিয়ে পাকিস্তান দেড় মাসের মতো আমদানি খরচ মেটাতে পারবে। ক্ষমতায়
আসার আগেই ইমরান খান জানতেন, প্রধানমন্ত্রী হলে পাকিস্তানের ভঙ্গুর অর্থনীতিকে
টেনে তোলার কঠিন চাপ নিতে হবে। এসব জেনেও নির্বাচনী প্রচারে আইএমএফ, বিশ্বব্যাঙ্ক, এডিবিসহ বিভিন্ন সংস্থার কঠোর
সমালোচনা করেছেন। কিন্তু নিরুপায় হয়ে এবার সেই সংস্থাগুলোর কাছে হাত পাতা শুরু
করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শুরুতে ভরসা রেখেছিলেন বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর উপর। এই
প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সৌদি আরবের কাছ থেকে ৬০০ কোটি ডলার, চীনের
কাছ থেকে ২২০ কোটি ডলার এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির (ইউএই) কাছ থেকে ২০০ কোটি ডলারও
পেয়েছেন ইমরান। ইউএই আরও কিছু অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। চীনের ঋণ সহায়তার
ক্ষেত্রে কেউ কেউ অবশ্য বলছেন, পাকিস্তানকে ‘ঋণ-ফাঁদের কূটনীতিতে’ ফেলছে চীন। এত কিছুর পরও বাজেট
ঘাটতি মেটানো, আমদানি খরচ মেটানো ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ
নিরাপদ রাখতে পারছে না ইমরানের সরকার। ফলে পাকিস্তান গত বছরের আগস্ট থেকে আইএমএফের
কাছে অর্থ সাহায্য চেয়ে আবেদন করে যাচ্ছে। পাকিস্তানের ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে
বাঁচাতে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ৬০০ কোটি ডলার দেওয়ার
প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ৬০০ কোটি ডলারের মধ্যে ১ কোটি ডলার দ্রুত পাকিস্তানকে
হস্তান্তর করা হবে। বাকি অর্থ আগামী তিন বছরে দেওয়া হবে। শর্ত একটাই। ওই অর্থে
চীনের ঋণ মেটানো যাবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্রমশ ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েছে
পাকিস্তান। ফলে আমেরিকার কাছে মাথানত করা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না ইমরানের।
বিশেষজ্ঞরা
বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা দিয়ে এক ঢিলে দুটো
পাখি মারতে চেয়েছেন ইমরান। একদিকে, আমেরিকাকে বার্তা দেওয়াও হল যে, ইসলামাবাদ
সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রচন্ড ভাবে আগ্রহী। আবার অন্যদিকে, এই
বার্তার মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগ টানারও চেষ্টা করেছেন তিনি। তবে ইমরানের এই সফর
ওয়াশিংটনে পাকিস্তানের কূটনীতিকে যে গুরুত্বের সুযোগ দিয়েছে, যার পুরো সদ্ব্যবহারই ইসলামাবাদ করতে চাইবে। যদিও পাকিস্তান ও আমেরিকার
দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে আগাম মন্তব্য করার সময় এখনও আসেনি।
কারণ, এ ধরনের সম্পর্ক সব সময় স্বার্থের উপর নির্ভর করে।
No comments:
Post a Comment