ভাগ হলো মারডকের মিডিয়া সাম্রাজ্য
মিডিয়া মুগল রুপার্ট মারডক তার কর্পোরেট
সাম্রাজ্যকে দুই ভাগ করেছেন। এক ভাগে আছে বিনোদনমূলক কোম্পানি— এর
নাম দেয়া হয়েছে টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি ফক্স। অন্য ভাগে প্রকাশনা কোম্পানি
নিয়ে গঠন করা হয়েছে নিউ নিউজ কর্পোরেশন। নিউজ কর্পোরেশনকে ভাগ করে দুটি কোম্পানি
গঠন করা হলেও দুটির শীর্ষ কর্মকর্তা মারডক নিজেই। অস্ট্রেলিয় আমেরিকান মারডকের এই
কোম্পানি বিভাজন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে গত শুক্রবার লেনদেন
বন্ধের পর কার্যকর হয়। টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি ফক্স গ্রুপে আছে ফক্স হলিউডের
সব স্টুডিও ও টেলিভিশন সংক্রান্ত সব বিষয়। প্রতিদিন শতাধিক ভাষায় একশ' কোটির বেশি গ্রাহকের সংবাদ ও বিনোদন পৌঁছে দেয়— এই
কাজটি আরো শক্তিশালী করতেই— নিউজ কর্পোরেশনকে দু'টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে বলে জানালেন মারডক। তিনি বলেন, এর মধ্যে দিয়ে গ্রাহকের আস্থা ও বিশ্বাস আরো গভীর হয়ে তাদের সাফল্য
অব্যাহত থাকবে এবং বিশ্বব্যাপী উদ্যোক্তা এবং সৃষ্টিশীলতা বাড়ানোর অঙ্গীকার অটুট
থাকবে। তাদের ব্যবস্থাপনা দল সর্বোত্কৃষ্ট এবং নতুন নতুন সুযোগ ও প্রযুক্তি কাজে
লাগিয়ে সম্পদ সম্প্রসারণ করে কোম্পানির অগ্রগতি ও শেয়ারহোল্ডারদের গুরুত্ব বাড়ানো
হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, নিউইয়র্ক পোস্ট, সানডে টাইমস, সানডে টেলিগ্রাফ ও সানের মতো বিখ্যাত পত্রিকা আছে নিউ নিউজ কর্পোরেশনে। ডাও জোন্স নিউজ এজেন্সি, ফক্স, স্পোর্টস অস্ট্রেলিয়া ও প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান হারপারকলিনও এই গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত। মারডকের নিউজ কর্পোরেশনে বিশ্বব্যাপী আয়ের পরিমাণ ৩৪ বিলিয়ন ডলার। ব্রিটেনে ফোনে আঁড়িপাতা কেলেংকারিতে জড়িয়ে সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়ায় শেয়ারহোল্ডাররা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল। এছাড়া প্রকাশনা শাখায় সমস্যাও তৈরি হয়েছিল। এসব কারণেও কোম্পানিকে দুইভাগ করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। অনেকে প্রকাশনায় অগ্রগতি হরাসের কথা বললেও মারডক বলছেন, সংবাদপত্রের প্রতি তার অঙ্গীকার অটুট থাকবে। অস্ট্রেলিয়ায় উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত একটি মাত্র সংবাদপত্র দিয়ে তার মিডিয়ায় যাত্রা শুরু। সারাজীবন ব্যয় করেছেন বিশাল মিডিয়া সাম্রাজ্য নিউজ কর্পোরেশন গড়ে তুলতে। বহু কোম্পানি একীভূত করে ও কিনে নিয়ে মিডিয়া সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। তার ব্যক্তিগত জীবনেও এই ভাঙ্গা গড়ার খেলা চলছে। গত মাসের শুরুতেই তিনি তার স্ত্রী ওয়েন্ডি ডেংয়ের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেছেন। চীনা ধনকুবের ওয়েন্ডি ডেং তার চেয়ে ৩৮ বছরের ছোট এবং তার তৃতীয় স্ত্রী। তবে ডেংয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ কোম্পানির কার্যক্রমে কোন প্রভাব ফেলবে না। ৮২ বছর বয়স্ক মারডকের কোম্পানিতে ডেংয়ের শেয়ার বা ভোটাধিকার ছিল না।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, নিউইয়র্ক পোস্ট, সানডে টাইমস, সানডে টেলিগ্রাফ ও সানের মতো বিখ্যাত পত্রিকা আছে নিউ নিউজ কর্পোরেশনে। ডাও জোন্স নিউজ এজেন্সি, ফক্স, স্পোর্টস অস্ট্রেলিয়া ও প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান হারপারকলিনও এই গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত। মারডকের নিউজ কর্পোরেশনে বিশ্বব্যাপী আয়ের পরিমাণ ৩৪ বিলিয়ন ডলার। ব্রিটেনে ফোনে আঁড়িপাতা কেলেংকারিতে জড়িয়ে সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়ায় শেয়ারহোল্ডাররা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল। এছাড়া প্রকাশনা শাখায় সমস্যাও তৈরি হয়েছিল। এসব কারণেও কোম্পানিকে দুইভাগ করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। অনেকে প্রকাশনায় অগ্রগতি হরাসের কথা বললেও মারডক বলছেন, সংবাদপত্রের প্রতি তার অঙ্গীকার অটুট থাকবে। অস্ট্রেলিয়ায় উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত একটি মাত্র সংবাদপত্র দিয়ে তার মিডিয়ায় যাত্রা শুরু। সারাজীবন ব্যয় করেছেন বিশাল মিডিয়া সাম্রাজ্য নিউজ কর্পোরেশন গড়ে তুলতে। বহু কোম্পানি একীভূত করে ও কিনে নিয়ে মিডিয়া সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। তার ব্যক্তিগত জীবনেও এই ভাঙ্গা গড়ার খেলা চলছে। গত মাসের শুরুতেই তিনি তার স্ত্রী ওয়েন্ডি ডেংয়ের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেছেন। চীনা ধনকুবের ওয়েন্ডি ডেং তার চেয়ে ৩৮ বছরের ছোট এবং তার তৃতীয় স্ত্রী। তবে ডেংয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ কোম্পানির কার্যক্রমে কোন প্রভাব ফেলবে না। ৮২ বছর বয়স্ক মারডকের কোম্পানিতে ডেংয়ের শেয়ার বা ভোটাধিকার ছিল না।
No comments:
Post a Comment