ভারতের বাজারে ঢুকতে
চাইছে মার্কিন বহুজাতিকরা
চাইছে মার্কিন বহুজাতিকরা
বহুজাতিক কর্পোরেট সংস্থার মৃগয়াক্ষেত্রে পরিণত হচ্ছে ভারত?
‘ওয়াল মার্ট’ থেকে ‘স্টারবাকস্’, ‘মরগ্যান স্ট্যানলি’ থেকে ‘নিউ ইয়র্ক লাইফ ইনসুরেন্সে’র মতো একের পর এক মার্কিন বহুজাতিক সংস্থার হুটোপাটিকে ঘিরে এই প্রশ্নই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে! সব ক্ষেত্রেই একটি বিষয়ে সাদৃশ্য। কর্পোরেট সংস্থাগুলি চায় ভারতের বাজার ধরতে। আর তার জন্য সকলেই নিজের নিজের মতো করে মার্কিন প্রতিনিধি সভার সদস্যদের প্রভাবিত করার খেলায় নেমে পড়েছে। খোদ মার্কিন সেনেটের করা সমীক্ষায় এমনই তথ্য ফাঁস হয়ে পড়েছে।
ভারতের বাজারে পা’ ফেলতে মরিয়া এমনই ডজনখানেক মার্কিন বহুজাতিক। এদের কারো ইচ্ছা ব্যবসা শুরু করা। আবার কারো লক্ষ্য দেশের বাজারে প্রসার বাড়ানো। অবশ্য এর নেপথ্যে কারণ আছে। মার্কিন মুলুকে মন্দা। বেহাল ইউরোপের রাঘব বোয়ালরাও। তাই চাই বাজার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উৎপন্ন দ্রব্য বিক্রি করার। যাতে কর্পোরেট সাম্রাজ্য বজায় রাখতে সুবিধা হয়। সেই মতোই ধরার চেষ্টা চলছে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার। বাদ পড়ছে না পড়শি চীনও। প্রতিবেশি দেশের বৃহৎ বাজারেও নিজেদের পণ্য গছিয়ে দিতে চাইছে ওই বহুজাতিকরা। দখল নিতে চাইছে সেদেশের খুচরো ব্যবসার বাজারেরও।
এই লক্ষ্যে মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের নানাভাবে প্রভাবিত করতে চাইছে কর্পোরেট সংস্থাগুলি। এর ভেতর ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ সংক্রান্ত আইনের সংস্কার অন্যতম। যাতে এই বহুজাতিক সংস্থাগুলি ভারতে তাদের কারবার ছড়াতে পারে। এই সংস্থাগুলির তালিকায় রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম খুচরো এবং সমস্ত রকমের বিপণী-ওয়াল মার্ট, কফি বিপণী জগতে আলোড়ন ফেলা সংস্থা স্টারবাকস্, অর্থনৈতিক পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা মরগ্যান স্ট্যানলি, বীমা সংস্থা নিউ ইয়র্ক লাইফ ইনসুরেন্স অথবা প্রুডেনশিয়াল ফিন্যান্সিয়ালের মতো সব বহুজাতিকরা।
পাশাপাশি প্রযুক্তির জগতে দিকপাল ইন্টেল, ভোপাল গ্যাসকাণ্ড কলঙ্কিত ডাও কেমিক্যাল, ওষুধ শিল্পে ফাইজার, টেলিকম ক্ষেত্রে এ টি অ্যান্ড টি, অলকাটেল-লুসেন্ট ছাড়াও বেশ কিছু সংস্থা। বাদ পড়ছে না বিমান পরিষেবা ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রও। এখানে ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা মুনাফা করতে মরিয়া এখন বোয়িং, রেথিয়ন এবং লকহিড মার্টিন। ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান ভারত মার্কিন পরমাণু চুক্তি নিজেদের স্বার্থে প্রভাবিত করতে তৎপর ছিল ঐ সংস্থাগুলি।
শুধু তাই নয়, বৃহৎ মার্কিন বহুজাতিক সংস্থা ছাড়াও দেশের বাজারে প্রবেশ করতে চায় অন্য কতগুলি মার্কিন সংস্থাও। এর জন্য তারা মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের প্রভাবিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এই কাজে সংস্থাগুলি কোটি কোটি ডলার খরচ করতেও কার্পণ্য করছে না। কেননা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এমন ভাবে কংগ্রসের প্রতিনিধিদের বাণিজ্যিক স্বার্থে কাজে লাগানো আইনত স্বীকৃত। কিন্তু তার আগে মার্কিন সেনেটকে এমন কাজের কথা আগাম জানাতে হয়। প্রতি তিন মাস অন্তর এই সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করে মার্কিন সেনেট। প্রয়োজনে সূচিত করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলিকে। ঘটনাচক্রে ভারতের বৃহত্তম বেসরকারী সংস্থা রিলায়েন্স বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে এমন কাজে লিপ্ত। গোটাটাই জানে নয়াদিল্লি। ভারত সরকারের বেশ কিছু আমলা পর্যন্ত ঐ বেসরকারী সংস্থার হয়ে মার্কিন কংগ্রসের প্রতিনিধিদের প্রভাবিত করার কাজ করেছেন বলেই খবরে প্রকাশ।
এটা বাস্তব। বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে ভারতের দিকে লোলুপ দৃষ্টি বেশ কিছু কর্পোরেট সংস্থার। এদের অধিকাংশের ঠিকানা মার্কিন মুলুকে। চীনও তার বিকাশমান অর্থনীতির চুম্বকে টেনে আনছে একাধিক মার্কিন বহুজাতিককে। তাই শেষ দু’দশকের ভেতর নিজেদের নীতির বড়সড় বদল করেছে এই কর্পোরেট সংস্থাগুলি। ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের সমীক্ষায় এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে থাকা ঊর্ধ্বসীমা মনপসন্দ নয় মার্কিন কর্পোরেট সংস্থাগুলির। তারা চায় এর বদল। আর এই কারণে প্রভাব খাটাতে কোন চেষ্টার ত্রুটি করছে না তারা। প্রয়োজনে বেলানো হচ্ছে দেদার অর্থ। যাতে হোয়াইট হাউস নয়াদিল্লিকে এই বিষয়ে মনের মত করে রাজি করাতে পারে। দেশের বাজারে সুবিধা হয় বহুজাতিক সংস্থাগুলির।
সেনেটের এই তথ্য অনুযায়ী ওয়াল মার্টের মতো বহুজাতিক বেশ কিছু বছর ধরেই ভারতে ব্যবসা করার জন্য প্রভাব খাটাচ্ছিলো। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে এই কাজ শুরু করেছে স্টারবাকস্ ও মরগ্যান স্ট্যানলির ন্যায় কর্পোরেট সংস্থাও। স্টারবাকস্ বিশ্বের বৃহত্তম কফি শপের বিপণী। ২০১১সাল থেকে ভারতের বাজারে প্রবেশ করার তোড়জোড় শুরু করে এই শীর্ষ সংস্থাটি। সেনেটের রিপোর্টে বিষয়টি জানা গেছে। এই জন্য সংস্থাটি চলতি বছরের প্রথম অর্ধে মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের প্রভাব খাটানোর কাজে ২লক্ষ মার্কিন ডলার খরচ করতেও পিছ পা হয়নি। এর ভেতর ভারতে বাজার তৈরির কাজে মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের কাজে লাগানো ছিলো অন্যতম। যারা নানা ভাবে স্টারবাকস্’র ব্যবসার কাজে সুবিধার জন্য প্রভাব খাটিয়েছেন। প্রচার চালানো ছিলো যার ভেতর অন্যতম। এছাড়া এখানে সরাসরি স্বীকার করা হয়েছে, ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ বাড়াতে মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দরকষাকষি চালিয়েছে ওয়াল মার্ট। এই কাজে ওয়াল মার্ট ৪০লক্ষ মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে। কারণ ভারতে ওয়াল মার্ট বহুমুখী খুচরো পণ্যের বিপণীর বাজারে ঝড় তুলতে চায়। কিন্তু বর্তমান আইনে এই মুহূর্তে যা সম্ভব নয়।
কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউ পি এ সরকার উদারবাদী নীতির পথে চলতে বদ্ধপরিকর। তারই ইতিবাচক বার্তা পেয়েছে বহুজাতিকরা। যারা এখন দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের ওপর থাকা ঊর্ধ্বসীমা আরো শিথিল হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। এদের পাখির চোখ রয়েছে দেশের খুচরো ব্যবসা, বীমা এবং অন্যন্য আর্থিক সংস্থাতে নিজেদের উপস্থিতি সুচারু করা। ঘটনাচক্রে মার্কিন সেনেটের প্রকাশিত এই রিপোর্ট অনুযায়ী, ডাও কেমিক্যাল, এ টি অ্যান্ড টি, আলকাটেল-লুসেন্ট’র মতো সংস্থা ভারতের বাজারে প্রবেশ করতে উদগ্রীব। একই কাজে টাকা খরচ করছে মরগ্যান স্ট্যানলির ন্যায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানও। যারা বাজারে বেসরকারী ব্যাঙ্ক করতে চায়। এমন কি এরা ভারত-মার্কিন সম্পর্ককেও ক্ষেত্র বিশেষে নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করেছে।
খুব একটা পিছিয়ে নেই নিউ ইয়র্ক লাইফ ইনসুরেন্সের মতো আন্তর্জাতিক বীমা সংস্থা। এরা চায় ভারত সরকার তাদের ইচ্ছা মতো দেশের বীমা ক্ষেত্রের বেসরকারীকরণের বিষয়ে বলিষ্ঠতা দেখাক। এই তালিকায় রয়েছে প্রুডেনশিয়াল ফিন্যানশিয়াল ইনকর্পোরেশনও।
‘ওয়াল মার্ট’ থেকে ‘স্টারবাকস্’, ‘মরগ্যান স্ট্যানলি’ থেকে ‘নিউ ইয়র্ক লাইফ ইনসুরেন্সে’র মতো একের পর এক মার্কিন বহুজাতিক সংস্থার হুটোপাটিকে ঘিরে এই প্রশ্নই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে! সব ক্ষেত্রেই একটি বিষয়ে সাদৃশ্য। কর্পোরেট সংস্থাগুলি চায় ভারতের বাজার ধরতে। আর তার জন্য সকলেই নিজের নিজের মতো করে মার্কিন প্রতিনিধি সভার সদস্যদের প্রভাবিত করার খেলায় নেমে পড়েছে। খোদ মার্কিন সেনেটের করা সমীক্ষায় এমনই তথ্য ফাঁস হয়ে পড়েছে।
ভারতের বাজারে পা’ ফেলতে মরিয়া এমনই ডজনখানেক মার্কিন বহুজাতিক। এদের কারো ইচ্ছা ব্যবসা শুরু করা। আবার কারো লক্ষ্য দেশের বাজারে প্রসার বাড়ানো। অবশ্য এর নেপথ্যে কারণ আছে। মার্কিন মুলুকে মন্দা। বেহাল ইউরোপের রাঘব বোয়ালরাও। তাই চাই বাজার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উৎপন্ন দ্রব্য বিক্রি করার। যাতে কর্পোরেট সাম্রাজ্য বজায় রাখতে সুবিধা হয়। সেই মতোই ধরার চেষ্টা চলছে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার। বাদ পড়ছে না পড়শি চীনও। প্রতিবেশি দেশের বৃহৎ বাজারেও নিজেদের পণ্য গছিয়ে দিতে চাইছে ওই বহুজাতিকরা। দখল নিতে চাইছে সেদেশের খুচরো ব্যবসার বাজারেরও।
এই লক্ষ্যে মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের নানাভাবে প্রভাবিত করতে চাইছে কর্পোরেট সংস্থাগুলি। এর ভেতর ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ সংক্রান্ত আইনের সংস্কার অন্যতম। যাতে এই বহুজাতিক সংস্থাগুলি ভারতে তাদের কারবার ছড়াতে পারে। এই সংস্থাগুলির তালিকায় রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম খুচরো এবং সমস্ত রকমের বিপণী-ওয়াল মার্ট, কফি বিপণী জগতে আলোড়ন ফেলা সংস্থা স্টারবাকস্, অর্থনৈতিক পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা মরগ্যান স্ট্যানলি, বীমা সংস্থা নিউ ইয়র্ক লাইফ ইনসুরেন্স অথবা প্রুডেনশিয়াল ফিন্যান্সিয়ালের মতো সব বহুজাতিকরা।
পাশাপাশি প্রযুক্তির জগতে দিকপাল ইন্টেল, ভোপাল গ্যাসকাণ্ড কলঙ্কিত ডাও কেমিক্যাল, ওষুধ শিল্পে ফাইজার, টেলিকম ক্ষেত্রে এ টি অ্যান্ড টি, অলকাটেল-লুসেন্ট ছাড়াও বেশ কিছু সংস্থা। বাদ পড়ছে না বিমান পরিষেবা ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রও। এখানে ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা মুনাফা করতে মরিয়া এখন বোয়িং, রেথিয়ন এবং লকহিড মার্টিন। ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান ভারত মার্কিন পরমাণু চুক্তি নিজেদের স্বার্থে প্রভাবিত করতে তৎপর ছিল ঐ সংস্থাগুলি।
শুধু তাই নয়, বৃহৎ মার্কিন বহুজাতিক সংস্থা ছাড়াও দেশের বাজারে প্রবেশ করতে চায় অন্য কতগুলি মার্কিন সংস্থাও। এর জন্য তারা মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের প্রভাবিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এই কাজে সংস্থাগুলি কোটি কোটি ডলার খরচ করতেও কার্পণ্য করছে না। কেননা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এমন ভাবে কংগ্রসের প্রতিনিধিদের বাণিজ্যিক স্বার্থে কাজে লাগানো আইনত স্বীকৃত। কিন্তু তার আগে মার্কিন সেনেটকে এমন কাজের কথা আগাম জানাতে হয়। প্রতি তিন মাস অন্তর এই সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করে মার্কিন সেনেট। প্রয়োজনে সূচিত করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলিকে। ঘটনাচক্রে ভারতের বৃহত্তম বেসরকারী সংস্থা রিলায়েন্স বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে এমন কাজে লিপ্ত। গোটাটাই জানে নয়াদিল্লি। ভারত সরকারের বেশ কিছু আমলা পর্যন্ত ঐ বেসরকারী সংস্থার হয়ে মার্কিন কংগ্রসের প্রতিনিধিদের প্রভাবিত করার কাজ করেছেন বলেই খবরে প্রকাশ।
এটা বাস্তব। বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে ভারতের দিকে লোলুপ দৃষ্টি বেশ কিছু কর্পোরেট সংস্থার। এদের অধিকাংশের ঠিকানা মার্কিন মুলুকে। চীনও তার বিকাশমান অর্থনীতির চুম্বকে টেনে আনছে একাধিক মার্কিন বহুজাতিককে। তাই শেষ দু’দশকের ভেতর নিজেদের নীতির বড়সড় বদল করেছে এই কর্পোরেট সংস্থাগুলি। ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের সমীক্ষায় এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে থাকা ঊর্ধ্বসীমা মনপসন্দ নয় মার্কিন কর্পোরেট সংস্থাগুলির। তারা চায় এর বদল। আর এই কারণে প্রভাব খাটাতে কোন চেষ্টার ত্রুটি করছে না তারা। প্রয়োজনে বেলানো হচ্ছে দেদার অর্থ। যাতে হোয়াইট হাউস নয়াদিল্লিকে এই বিষয়ে মনের মত করে রাজি করাতে পারে। দেশের বাজারে সুবিধা হয় বহুজাতিক সংস্থাগুলির।
সেনেটের এই তথ্য অনুযায়ী ওয়াল মার্টের মতো বহুজাতিক বেশ কিছু বছর ধরেই ভারতে ব্যবসা করার জন্য প্রভাব খাটাচ্ছিলো। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে এই কাজ শুরু করেছে স্টারবাকস্ ও মরগ্যান স্ট্যানলির ন্যায় কর্পোরেট সংস্থাও। স্টারবাকস্ বিশ্বের বৃহত্তম কফি শপের বিপণী। ২০১১সাল থেকে ভারতের বাজারে প্রবেশ করার তোড়জোড় শুরু করে এই শীর্ষ সংস্থাটি। সেনেটের রিপোর্টে বিষয়টি জানা গেছে। এই জন্য সংস্থাটি চলতি বছরের প্রথম অর্ধে মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের প্রভাব খাটানোর কাজে ২লক্ষ মার্কিন ডলার খরচ করতেও পিছ পা হয়নি। এর ভেতর ভারতে বাজার তৈরির কাজে মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের কাজে লাগানো ছিলো অন্যতম। যারা নানা ভাবে স্টারবাকস্’র ব্যবসার কাজে সুবিধার জন্য প্রভাব খাটিয়েছেন। প্রচার চালানো ছিলো যার ভেতর অন্যতম। এছাড়া এখানে সরাসরি স্বীকার করা হয়েছে, ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ বাড়াতে মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দরকষাকষি চালিয়েছে ওয়াল মার্ট। এই কাজে ওয়াল মার্ট ৪০লক্ষ মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে। কারণ ভারতে ওয়াল মার্ট বহুমুখী খুচরো পণ্যের বিপণীর বাজারে ঝড় তুলতে চায়। কিন্তু বর্তমান আইনে এই মুহূর্তে যা সম্ভব নয়।
কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউ পি এ সরকার উদারবাদী নীতির পথে চলতে বদ্ধপরিকর। তারই ইতিবাচক বার্তা পেয়েছে বহুজাতিকরা। যারা এখন দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের ওপর থাকা ঊর্ধ্বসীমা আরো শিথিল হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। এদের পাখির চোখ রয়েছে দেশের খুচরো ব্যবসা, বীমা এবং অন্যন্য আর্থিক সংস্থাতে নিজেদের উপস্থিতি সুচারু করা। ঘটনাচক্রে মার্কিন সেনেটের প্রকাশিত এই রিপোর্ট অনুযায়ী, ডাও কেমিক্যাল, এ টি অ্যান্ড টি, আলকাটেল-লুসেন্ট’র মতো সংস্থা ভারতের বাজারে প্রবেশ করতে উদগ্রীব। একই কাজে টাকা খরচ করছে মরগ্যান স্ট্যানলির ন্যায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানও। যারা বাজারে বেসরকারী ব্যাঙ্ক করতে চায়। এমন কি এরা ভারত-মার্কিন সম্পর্ককেও ক্ষেত্র বিশেষে নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করেছে।
খুব একটা পিছিয়ে নেই নিউ ইয়র্ক লাইফ ইনসুরেন্সের মতো আন্তর্জাতিক বীমা সংস্থা। এরা চায় ভারত সরকার তাদের ইচ্ছা মতো দেশের বীমা ক্ষেত্রের বেসরকারীকরণের বিষয়ে বলিষ্ঠতা দেখাক। এই তালিকায় রয়েছে প্রুডেনশিয়াল ফিন্যানশিয়াল ইনকর্পোরেশনও।